Thakurgaon

We just returned to Rangpur from Thakurgaon. I had an amazing time in Thakurgaon with everyone being very welcoming and visiting some very interesting programs. We have also been sharing a lot of information about Canada and Canadian culture as many people have little or no access to this information unless they have been educated. We have seen so much in this one week so hopefully I don’t leave anything out.

Federations: Federations are groups of 20 people minimum that work together to tackle economic and social issues in their communities. We met two fantastic girls (about 15 years old) who have challenged teachers, their parents, and other adults about women’s oppression and are working to educate other adolescents in their area. The goals of the federations are truly admirable…and frankly they set and achieve more goals in one year than most organizations in Canada could do in 30 years. The sense of responsibility for their each other, their community, and their country, is outstanding.

We also visited with a group of 4 fabulous women who are taking a training course at RDRS to begin to work in development. They exude the same strength and belief in their people that is sure to make them outstanding leaders in their community. These ladies will not be forgotten.

We visited a few tribal groups who are recieving different types of education from embrodiery to carpet weaving, to improved agriculture practices. These programs make a big difference in providing opportunities to earn a living and encouraging disscussion of social issues. We also recieved a dance lesson from 2 groups which was fun.We went for a walk through a forest in Bangladesh which looked surprisingly similar to what one in the more southern parts of Canada might look like. While on the walk we encountered to women and a young boy who were collecting fire wood to sell in the market. These people were excluded socially from society and had no other means of survival. The two women were widows and had no other source of income but to carry incredibly heavy bundles of fire wood every day rain or shine. The women described hiding in the forest as “spiritual suicide”. The young boy was an orphan as his parents had both married other people who refused this boy. He was approximately 10-12 years old, shifting between homes to stay, and carrying firewood as his only means of survival. He spoke angrily about the school system and seemed very hopeless about his future. There are no services at all for these people. The stark contrast to Canadian society was more apparent here than ever as children and women are among the most deserving of assistance in our society. It highlighted the amount of work yet to be done here in Bangladesh.We also visited an antenatal clinic which was very interesting. births still occur generally at home here unless there are complications but now have the assistance of trained people and the women recieve medical check ups and prenatal vitamins. The conditions of the clinic were much different as it wasn’t overly sanitary looking and it was packed with people….the doctor sees 120 people a day….which we were obviously interrupting as everyone stopped what they were doing to talk with us and ask questions. This is one thing we would like to see change about our experience as it isn’t right to stop the program to visit…and I know i would prefer to see the actuall activities of the program rather than having people stop to explain it to us.

At the end of our trip we had a very fun cultural show where there was a lot of singing and dancing (including us) and some excellent food. It was sad to see our time in Thakurgaon end but I am really looking forward to the next field stations. Now that we know what to expect we can ask better questions and request changes to what happened in the first field. We stopped at an excellent temple on the way back to Rangpur….where we became the attraction rather than the temple with some Bengali students asking to have their picture taken with us.Now we are in Rangpur for a brief break to rest and then we head to Laimorat tomorrow after lunch. My blog updates will likely be weekly until the end of my trip as we are now in the field every week. I should have some pictures posted on my flickr account this weekend sometime…as soon as I have access to a computer where I can upload (check my blog roll for pictures). Hope all is well wherever you are.
Khuda Hafiz
Lyndsay Hersikorn
Bangladesh Study Tour 2007

টাঙ্গন নদীর তীরে- (ওএমএস)

'খোলা বাজারে বিক্রয়' বা 'ওপেন মার্কেট সেল' বাংলাদেশ সরকারের সেবামূলক কাজের মধ্যে অন্যতম। বন্যা,মহামারী, মঙ্গা ইত্যাদি কারণে চাল-গমের মূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে সরকার বাজারদরের চাইতে কম মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করে থাকেন। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকারের পক্ষে এ ধরণের কার্যকম চালানোটা সমীচীন নয়। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক মুক্তবাজার গড়ে ওঠেনি। তাই সময় সময় বাজারকে নির্দিষ্ট গতিতে চলতে না দিয়ে সরকার বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের গরীবদের জন্যে এটা কিছুটা সামাজিক নিরাপত্তামূলক উদ্যোগ । সরকারের উদ্দেশ্য মহান শোনালেও এর পিছনে রয়েছে ঘৃণ্য রাজনীতি আর ব্যবসা। যাদের মাধ্যমে কার্যকর করতে হয় তারা ব্যবসায়ী। বাজারে চালের দাম যত সরকার কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা কমদরে বিক্রি করে থাকে। এরজন্যে সর্বপ্রথমে ডিলার নিয়োগ দিতে হয়। ডিলাররা বেশিরভাগ হয় ক্ষমতাসীনদলের অনুসারী মুদি দোকানদার বা ব্যবসায়ী।

ঠাকুরগাঁয়ে একবার ওএমএস চলাকালে বস ছুটিতে থাকায় আমাকে জেলার সব ডিলার নিয়োগ দিতে হয়। ডিলার নিয়োগের কথা শুরু হওয়ার আগেই একদিন এক মোল্লা অফিসে আসল। এসে জিজ্ঞাসা করা শুরু করল কবে থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রয় শুরু হবে? আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, আপনার কি দরকার? আপনি কি খোলাবাজার থেকে চাল কিনবেন? উনি বললেন না, আমার দোকান আছে, আমি বিক্রি করব। আমি বললাম, খোলা বাজারে সরকার চাল বিক্রয় করে দুস্হ জন গণকে সাহায্য করার জন্যে। এতে ব্যবসায়ীদের তেমন লাভ হয় না, বরন্চ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আপনার এত উত্সাহ কেন? আর সরকারের তরফ হতে এখনও কোন ঘোষণা আসেনি, আপনারা এত উদগ্রীব হলেন কেন? যারা বাজার দরের কারণে কিনতে পারছে না দাবী উঠার কথা তাদের কাছ থেকে। উনি তখন বললেন, আমাকে মাওলানা রফিক পাঠিয়েছেন। আমি বললাম, উনি কে? মোল্লা কিছুটা ক্ষুণ্ণ হল, আপনি আমাদের আমীরকে চিনেন না, কতদিন হল ঠাকুরগাঁয় আছেন? আমি বললাম, ওনাকে চিনতে হবে কেন? একটু বাড়িয়ে বললাম, দু'বছর যাবত আছি কখনও নাম শুনিনি। মোল্লার আঁতে ঘা লেগেছে, দু'বছর আছি তাও তাদের আমীরকে চিনি না। আমি শেষে বললাম, দেখেন সরকারী ঘোষণা আসলে নিয়মানুযায়ী আপনাদের জানানো হবে।

যা হোক সরকার একসপ্তাহের মধ্যে ডিলার নিয়োগ দিতে বলল। এত কম সময়ে ডিলার বাছাই ও নিয়োগ দেয়া খুবই চ্যালেন্জিং, এর মধ্যে আমার বিভাগের সচিব, উপরস্হ কর্মকর্তা সবাই ভাবতেছেন আমি সামলাতে পারব কি না? আমার বসও ছুটি বাতিল করে চলে আসতে চাইছেন। আমি সবাইকে বললাম, আগেও আমি ওএমএস এর কাজ করেছি কোন সমস্যা হবে না।

চারদিক থেকে তদ্বির শুরু হল। বিএনপি'র নেতাদের কথা সব ডিলার তাদের দল থেকে দিতে হবে, না হলে সমস্যা হবে। মন্ত্রী মীর্জা সাহেব ফোন করে বললেন, আপনি সাধারণ সম্পাদক সামাউনের সাথে পরামর্শ করেন, ওনার কি বলে শোনেন। আমি মন্ত্রীর বিরোধিতা না করে জ্বী স্যার ,জ্বী স্যার করে গেলাম। সম্পাদক সাহেব তার দলবল নিয়ে বাসায় বসে আছেন। আমাকে ফোন করে বললেন, আপনি আমার বাসায় আসেন? আমি তার আস্পর্ধা দেখে অবাক হলাম। মন্ত্রী সরকারের অংশ, তিনি বাসায় বসতে পারেন, সরকারি কর্মকর্তাকে তলব করতে পারেন , তা বলে সামু? আমি বিগলিত গলায় বললাম, হ্যাঁ, হ্যাঁ সামু ভাই ,আমি অফিস ছেড়ে বেরুতে পারব না , বস নেই তাই খুব ঝামেলায় আছি। আপনি যদি কাইন্ডলি আসেন তাহলে আপনার কথা শোনা যাবে।যা হোক শেষ পর্যন্ত ডিলার নিয়োগ দেয়া হল।

জেলা প্রশাসকও ক্ষমতাসীনদের সাথে আপস করে চলেন, কিন্তু আমাকে বললেন, আইন অনুযায়ী চলতে। এদিকে সময়মত চালু করতে না পারলে বদনাম সব আমার এবং বিভাগের হবে। পত্রিকায় নিউজ আসবে, সেটা সামলানো আরও কঠিন।যাহোক ব্যবসায়ী বা রাজনীতিকরা বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে দু'এক বস্তা বিক্রি করে গরীব লোকজনকে খেদিয়ে দেয়। বাকি চাল তারা বাজার মূল্যে বিক্রি করে। গরীব মানুষের জন্যে দেয়া সরকারি এ সুবিধা নিতে তাই তাদের এত আগ্রহ। আমরা যতদুর পারি মনিটর করি। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবল আর যোগাযোগের অসুবিধার কারণে অনেক জায়গায় গরীব মানুষ সুবিধা বন্চিত হয়। ওএমএস এর সময় ২০-৩০ দিন প্রায় প্রতিদিন চরকীর মত পুরো ঠাকুরগাঁও ঘুরে ঘুরে তদারকি করেছি। অনেক জায়গায় গিয়ে শুনতাম সকালে দু'একঘন্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। লোকজন আমাদের কাছে অভিযোগ করত তারা চাল পায়নি।আমি জানতে চাইতাম, এতে তাদের কতটুকু উপকার হয়। তারা বলত, প্রতি কেজিতে ৩ টাকা কম হলে চার কেজির দামে তারা ৫ কেজি কিনতে পারে। অথবা কিছু টাকা বাঁচলে অন্য কিছু কেনার চিন্তা করে। হাড্ডিসার মানুষগুলো বলত, স্যার এত দেরীতে শুরু করলেন ক্যান? আমাদের তো দম আসে আর যায়। আমি বলতাম আপানাদের এলাকার নেতাদের বলেন, কারা প্রতিনিধি তাদের বলেন। তারা না বললে কেউ আসবে না। লোকগুলো চুপ হয়ে যেত, তাদের কথা বলার কেউ নেই। এতকিছুর মাঝেও আমি বলতাম, দম যাবে বুঝেই রোগীর মুখে পানি দেয়া হয়, সরকার তেমনি আপনাদের পানি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে। তারা বুঝত, রসিকতার জবাবে নির্বিকার, ক্ষুধার্ত পেটে ফ্যাকাসে হাসির চেষ্টা করত।

রাতে বাসায় ফিরে চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য,পেয় খাবারের সবটা বিস্বাদ ঠেকত। হাড্ডিসার ছবিগুলো চোখে ভাসত, ভাবতে পারতাম না,রাষ্ট্র, ব্যবসায়ী, রাজনীতিকরা কিভাবে এদের মুখের খাবার কেড়ে নিচ্ছে।
------
লেখকঃ নাজিম উদদীন
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত ও উচ্চশিক্ষা গ্রহনরত

টাঙ্গন নদীর তীরে- (প্রটোকল)

প্রটোকল বলতে একেকজন একেকরকম বুঝে থাকেন। আইটি'র লোকজনের কাছে প্রটোকল ডাটা ট্রান্সফারের পদ্ধতি। কিন্তু সরকারি চাকরিতে প্রটোকল মানে হল যন্ত্রণা। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের অন্যতম দায়িত্ব হল তার জেলায় যাওয়া সরকারে মন্ত্রী বা বড় অফিসারের সার্বিক সুযোগ সুবিধার প্রতি নজর রাখা যা সংক্ষেপে 'প্রটোকল'।

জেলার সর্বময় কর্তা 'ডেপুটি কমিশনার' বাংলায় বলা হয় 'জেলা প্রশাসক' কিছুটা বাংলা সিনেমার ইংরেজি নামের মত যেমন 'প্রেমের মরা জলে ডুবে না' হয়ে যায়' এ ট্রু লাভ স্টোরি'। উনি প্রশাসনিক দায়িত্বের সাথে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বও পালন করে থাকেন। তাঁর অধীনে অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জেলাপর্যায়ে প্রায় ৩-৪ শত কমিটির তিনি প্রধান বা সভাপতি, ফলে তার হয়ে প্রটোকল এবং অন্য অনেক দায়িত্ব সহকারি কমিশনাররা করে থাকেন।

ঠাকুরগাঁয়ে প্রটোকলের কাজ হল যেদিন মন্ত্রী বা সিনিয়র অফিসার আসবেন সেদিন সকাল হতে সৈয়দপুরে গিয়ে বিমানবন্দরে বসে থাকা। অনেকসময় মন্ত্রীমহোদয় নাও আসতে পারেন কিন্তু রিস্ক নেয়া যাবে না। তারপরে সার্বক্ষণিক তার সাথে সাথে থাকা, সরকারি কাজে আসলে তার ব্যবস্হা করা। সাথে বউ ছেলেমেয়ে আনলে তাদের বিনোদনের ব্যবস্হা করা। ভাবীদের প্রটোকলে কোন ভূল হওয়া চলবে ন,এমনও দেখছি সন্ধ্যার সময় ক্লাবে টিটি খেলছি কারও সাথে এমন সময় ডিসি সাহেব বললেন , ভাবী পৌরমিলনায়তনের মেলায় গেছে হায়দার তুমি যাও ভাবীদের প্রটোকল দাও। হায়দার দেখা গেল খেলা ছেড়ে গজরাতে গজরাতে মেলায় যাচ্ছে। মেলায় গিয়ে বাচ্চা কোলে নিয়ে ডিসির বউয়ের পেছন পেছন ঘুরছে। বাচ্চারা সমানে বিভিন্ন আবদার করছে আর নাজির কোষাগারের টাকা খরচ করে সব বিল মিটিয়ে যাচ্ছে। ভাবী ঠাকুরগাঁয়ে নতুন আসলে তাকে নিয়ে আম গাছ দেখাতে বালিয়াডাঙ্গী নিয়ে যেতে হবে। বেদানা লিচু, সূর্যপূরী আম খাওয়াতে হবে। এরপর হ্যাড্‌স এবং দর্শনীয় যা আছে তা দেখাতে হবে, এমনকি বাংলাবান্ধা যেতে চাইলে তাও যেতে হবে। দরকার হলে গাড়ী রিকুইজিশান করে।

কোন মন্ত্রী মহোদয় বা রাজপুত্র আসলে কোন কথা নেই । আগে থেকে সব কিছু রেডি থাকতে হবে। এমনকি কোন কোন মন্ত্রী টয়লেটে যাওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে টয়লেট চেক করে আসবে সব ঠিক আছে কি না। এরপরে কর্মী সমর্থকের ভীড়ে একসময় মন্ত্রী হয়তো ভূলেই যান একজন থার্ড ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট তার সাথে সারাদিন আছে তার খাওয়া দাওয়া হল কি না।

সবাই একরকম না , তরিকুলের সুনাম শুনেছি, ডেকে এনে পাশে বসিয়ে খাওয়ায়। যশোরে ডিসিকে সাথে নিয়ে ফুটপাতে বসে চা খায়, ডিসি ইতস্তত করেছে দেখে তাকে গালিও দিয়েছিল। আবার স্বরাস্ট্র সচিব জামাতী ঘরানার ফজলু পরে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শুনেছি অফিসারদের তুই তোকারি করত। এসপিকে ডাকেন, ঐ এসপি'র বাচ্চা এদিকে আয়। উনি আবার মিনারেল ওয়াটার ছাড়া ওজু করতেন না। র‌্যাব নাকি তার ব্রেইন চাইল্ড এজন্য বিএনপির সময় তার খুব দাপট ছিল।

আমারও মাঝে মাঝে প্রটোকল করতে হত। মন্ত্রী/সচিব যদি আমার বিভাগ পরিদর্শন করতে আসেন তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমাকেও থাকতে হত। এছাড়া উর্ধতন যে কোন কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁয়ে আসলে সকাল থেকে রাত ১০-১১ টা পর্যন্ত তার সাথে থাকা বাধ্যতামূলক। তার নাশ্তার মেনু থেকে শুরু করে রাতের বিশ্রাম পর্যন্ত সব ঠিকঠাক রাখার ব্যবস্হা নিতে হবে। আর ডিপার্টমেন্টের সব তথ্য হালনাগাদ করে বগলে ফাইল নিয়ে তার সাথে ঘুরতে হবে। আমার ইমেডিয়েট বস খুব ভয় খেত সব সময় ইয়েস বস। আমি অনেকসময় নিজের মত করে বলতাম। মাঝে মাঝে অফিসার পিঠ চাপড়ানোর ভংগীতে বলত, 'রাইট ইউ আর'। অবশ্য বসের ভয় খাওয়ার কারণ আছে।

একবার উপমন্ত্রী দুলু ঠাকুরগাঁয়ে যুবরাজের সাথে এসেছেন, রাজনৈতিক কাজে। তাই উনি তার সাথে সার্কিট হাউসে গিয়ে দেখা করেননি। পরে দুলু সাহেব ঢাকা গিয়ে সচিবের কাছে কম্প্লেইন করেন। ইমেডিয়েটলি তার সাথে দেখা করতে বলেন। বস পরে নীলফামারী গিয়ে দুলু মন্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে আসেন।

প্রটোকলে অনেকসময় গোপন অনেক ব্যাপার জানা যায়। আমি তখন নতুন , সচিবালয় হতে নতুন অফিসার ঠাকুরগাঁয়ে এসেছেন। তিনি হঠাত গলা নামিয়ে বলা শুরু করলেন তখনকার মন্ত্রী নোমান সাহেব নাকি মন্ত্রণালয় থেকে ৩০০ কোটি টাকা দাবী করেছেন। আমার বস আমাকে ইঙ্গীত দিলেন বাইরে যাওয়ার জন্যে। আমি উঠতেই তিনি বললেন, না ও থাকুক, জানতে হবে না কাদের সাথে কাজ করতে হবে। তো নোমান সাহেব নাকি বলেছেন তিনি চিটাগাংয়ের সবচেয়ে গরীব মন্ত্রী তাই আগামী ইলেকশানের জন্যে তাকে যেন এ টাকাটা দেয়া হয়। আমি তখন জানতাম আমু সাহেব ৫০০ কোটি টাকা নিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালে। সচিবালয়ে অফিসাররা নোমান সাহেবকে বলেছেন, স্যার আপনি সামলাতে পারবেন না, আমু সাহেবের পার্টিতে অনেক ক্ষমতা ছিল। এর কয়দিন পরে ম্যাডাম নোমানকে বদলী করে অন্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেন। পরে চৌধুরী সাহেব তুলনামূলকভাবে অনেক সত ছিলেন, আওয়ামী লীগের মতিয়া চৌধুরীও সত্ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঠাকুরাগাঁয়ের মন্ত্রীসাহেব অধ্যাপক ছিলেন তাই ঝামেলা কম করতেন । তিনিও ডিসি অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগে প্রায় ৬০ লাখ টাকার মত নিয়েছেন। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগেও প্রায় সমপরিমাণ টাকা নিয়েছেন। এসপি এবং ডিসি টাকা কালেক্ট করে দিয়েছে। ক্লাবে অফিসারদের আলাপ থেকে শুনতাম, নিজেরা না পাওয়ার বেদনা থেকে কথাগুলো আমাদের কানে চলে আসত।

প্রটোকল নিয়ে বলতে গিয়ে কোথায় চলে এলাম। প্রটোকল নিয়ে অনেক কথা বলা যায়, তবে দেশের স্বার্থে এ ধরণের ব্রিটিশ বা সামন্ততান্ত্রিক সিস্টেম যত তাড়াতাড়ি উঠে যায় ততই মঙ্গল।
---------------
লেখকঃ নাজিম উদদীন
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত ও উচ্চশিক্ষা গ্রহনরত